এইমাত্র
  • শাহীন চাকলাদারের ৫৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, দুদকের মামলা
  • মানুষের কল্যাণে কাজ করুন, উপদেষ্টাদের রিজভী
  • বহুল প্রতিক্ষীত দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন আগামীকাল
  • বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে রাত ১১টা-সকাল ৭টা সেচ কার্যক্রম চালানোর অনুরোধ
  • এবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত চাইলেন ফরাসি এমপি
  • সাংবাদিককে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী মাদকের সেই দিদারুলকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’
  • কাঠগড়ায় কাঁদার পর হাসতে হাসতে হাজতখানায় যান সাবেক মন্ত্রী শাজাহান
  • রমজানের প্রথম ১০ দিনে ৩৩ ভিক্ষুককে গ্রেফতার করেছে দুবাই পুলিশ
  • ময়মনসিংহে ছদ্মবেশে থাকা নারীসহ আরাকান আরসার ৪ সদস্য আটক
  • এপ্রিলে শুরু হতে যাচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ, গুরুত্ব পাবে নাগরিক মতামত
  • আজ সোমবার, ৩ চৈত্র, ১৪৩১ | ১৭ মার্চ, ২০২৫

    যুবকের

    নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু

    নীলফামারী সৈয়দপুর মহাসড়কে মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা ও পণ্যবাহী কন্টেইনার গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে নাঈম ইসলাম (২২) নামে এক মোটরসাইকেল চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।


    রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে সদরের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশে হরিবল্লভ প্রাইমারি স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


    নিহত নাঈম ইসলাম নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ধনিপাড়ার এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।


    পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে প্রথমে একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে পরে পণ্যবাহী কন্টেইনার গাড়ির চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নাঈম ইসলাম। দুর্ঘটনার তীব্রতায় তার দেহ কয়েক খণ্ড হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ও পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।


    নীলফামারী সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.আর সাঈদ বলেন, ‘মরদেহ থানায় নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।


    এনআই

    প্রবাসী যুবকের উদ্যোগে একযোগে ২০টি মসজিদ-মাদ্রাসায় ইফতার বিতরণ

    ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় একযোগে ২০টি মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় আকাশ মিয়া নামে এক মরিশাস প্রবাসী যুবকের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। 


    রবিবার (১৬ মার্চ) বিকালে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও কাশিয়ানী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রায় তিন সহস্রাধিক রোজাদারের মধ্যে এ ইফতার পৌঁছে দেওয়া হয়।


    মরিশাস প্রবাসী আকাশ মিয়া আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাটিগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে। তিনি মরিশাসের ঈশান কামিনী কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক। 


    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমাজসেবামূলক কাজে জড়িয়ে অল্প দিনের মধ্যে জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন মরিশাস প্রবাসী যুবক আকাশ মিয়া। বিশেষকরে ইতোমধ্যে একযোগে দশটি মসজিদ ও মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়নে অংশ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে গরিব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এরইমধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়কাল থেকে এলাকার কয়েকশো হতদরিদ্র পরিবারকে প্রতিমাসে চাল বিতরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রতি ঈদে বস্ত্র, খাদ্য সামগ্রী ও গরুর মাংস বিতরণ করে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশকিছু হতদরিদ্র পরিবারের ঘর নির্মাণ করে প্রশংসায় ভাসছেন এ যুবক। প্রতিমাসে এলাকার পাঁচটি এতিমখানায় প্রয়োজনীয় চাল সরবরাহ করেন তিনি।


    আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রফিক মিয়া বলেন, 'পবিত্র মাহে রমজানে প্রতিবারের ন্যায় এবারও মরিশাস প্রবাসী আকাশ মিয়ার উদ্যোগে ২০টি মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রায় তিন হাজার রোজাদারদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।'


    আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজসেবক আশিকুর রহমান বলেন, 'মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য এই ব্রত নিয়ে মানব কল্যাণে এগিয়ে চলেছেন মরিশাস প্রবাসী আকাশ মিয়া। এলাকায় গরীব-দুঃখী মানুষের পরম বন্ধু হিসেবে ইতোমধ্যেই মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।'


    জানতে চাইলে মরিশাস প্রবাসী আকাশ মিয়া মুঠোফোনে জানান, 'পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মরিশাসের ঈশান কামিনী কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে ২০টি মসজিদ ও মাদ্রাসায় ইফতার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একদিন আমাদের সবাইকে এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে, তাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যেতে চাই। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।


    এনআই


    মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল রাজবাড়ীর যুবকের


    জীবিকার তাগিদে উন্নত জীবনের আশায় প্রায় ৯ মাস আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিয়েছিলেন পরিবারের বড় ছেলে আব্দুল মাজেদ খাঁন (২৯)। 


    গত ১০ মার্চ (সোমবার) সকালে মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। নিহত আব্দুল মাজেদ খাঁন রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর গ্ৰামের মোয়াজ্জেম খাঁনের ছেলে। 


    নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উন্নত জীবনের আশায় পরিবারের বড় ছেলে মাজেদ প্রায় ৯ মাস আগে মা-বাবা, ও ৫ বছরের একমাত্র মেয়েকে রেখে মালয়েশিয়ায় যান। মাজেদ মালয়েশিয়ায় পেনাং শহরে একটি কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে গত ১০ মার্চ (সোমবার) সকালে মালয়েশিয়ায় নতুন ভিসার জন্য মেডিকেল করতে য়াওয়ার সময় পথে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির চাপায় পড়ে তিনি নিহত হন। মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে তার পরিবার জানার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। মাজেদর মরদেহ দ্রুত দেশে আনার জন্য দাবি পরিবারের সদস্যদের। 


    মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সরেজমিনে নিহত মাজেদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারে চলছে শোকের মাতম। আদরের সন্তানের শোকে বারান্দায় শুয়ে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন মা। বাড়ির উঠানে স্বজনদের আহাজারি।


    নিহত মাজেদ খাঁনের বাবা মোয়াজ্জেম খাঁন বলেন, ‌আমার ছেলে মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আমার ছেলের মরদেহ দেশে আনতে চাই। সরকার যেন দ্রুত আমার ছেলের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেয়।


    এসআর

    বান্দরবানে সড়ক দূর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু

    বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় রাশেদুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সে বান্দরবান বাজারের চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ওসমান এর বড় ছেলে। 


    রবিবার (৯ ই মার্চ)  বান্দরবান-কেরানীরহাট মহাসড়কের মাঝেরপাড়া নামক স্হানে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা টি ঘটে।


    স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান সদর উপজেলার কেরানীহাট-বান্দরবান মহাসড়কের মাঝেরপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে ঔষুধ কোম্পানির কাভার্ড ভ্যান গাড়ীর মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়৷ এতে ঘটনাস্থলেই  মোটরসাইকেল আরোহী রাশেদুল ইসলামের মৃত্যু হয়।


    এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বান্দরবান সদর থানা পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার করে


    স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনায়  নিহত যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে  কেরানীহাট থেকে বান্দরবান ফেরারপথে মাঝেরপাড়া এলাকায় চট্টগ্রামগামী একটি পিক-আপের সাথে  মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা টি ঘটে। এতে  মোটর সাইকেল চালক ঘটনাস্থলেই  মারা যায়। 


    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ পারভেজ  সময়ের কন্ঠস্বর কে জানান, আমি নিজে এখনো ঘটনাস্থলে আছি। ঘটনা  পরিপূর্ণ তদন্তের পর বিস্তারিত বলতে পারবো।তবে প্রাথমিক তদন্তে একটি   ওষুধের গাড়ীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। 


    এনআই



    কিস্তির ভার সইতে না পেরে চট্টগ্রামে যুবকের আত্মহত্যা

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে এক মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিয়ের দুই মাসের মাথায় ঋণের কিস্তির চাপ সইতে না পেরে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। নিহত যুবক বরকত হোসেন (২৮) ছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় রিকশাচালক। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে, যার ফলে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    বরকত হোসেনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি দুই মাস আগে বাঁশখালী উপজেলার এক তরুণীকে সামাজিকভাবে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের সময় তিনি "উদ্দীপন" নামক একটি এনজিও থেকে ৯০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তবে, ঋণের কিস্তি পরিশোধে অসুবিধায় পড়তে থাকেন তিনি, যার ফলে মানসিক চাপে ভুগছিলেন। তার পরিবার জানায়, এ ধরনের চাপের কারণে বরকত কিছুদিন আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

    আত্মহত্যার ঘটনা সম্পর্কে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ নিশ্চিত করে সময়ের কণ্ঠস্বর-কে বলেন, "তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বরকতের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"

    এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আজাদ সময়ের কণ্ঠস্বর-কে জানিয়েছেন, ঋণের কিস্তির বোঝায় পিষ্ট হয়ে বরকত আত্মহত্যা করেছেন। তার কথায়, "ঋণের চাপ ছিল বরকতের জীবনে একটা বড় সংকট, যা তাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছিল।"

    এদিকে, এনজিও "উদ্দীপন" এর কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার নুরুল আমিন সময়ের কণ্ঠস্বর-কে বলেন, "আমি সম্প্রতি এই শাখায় যোগদান করেছি এবং এমন কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি বা শুনিনি। তবে আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।"

    এফএস

    বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তরুণীকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা

    বিয়েতে রাজি না হওয়ায় এক তরুণীকে হত্যা করেছেন এক যুবক। পরে ওই যুবক নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। জানা যায়, নিহত তরুণীকে ওই যুবক পছন্দ করতেন এবং গত এক বছর ধরে তাকে রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গেছে। 


    চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্নাটকের বেলাগাভিতে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।


    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কর্ণাটকের বেলাগাভিতে বিয়ে করতে অস্বীকার করার পরে এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এক যুবক। শুধু তাই নয়, এরপর ঘটনাস্থলেই আত্মহত্যা করেন অভিযুক্ত। নিহত ওই তরুণীর নাম ঐশ্বরিয়া মহেশ লোহার। ২০ বছর বয়সী এই তরুণী নাথ পাই সার্কেলের কাছে একটি বাড়িতে থাকতেন এবং সেখানেই খুন হন।


    অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবকের নাম প্রশান্ত কুন্দেকার। বেলাগাভি তালুকের ইয়েলুর গ্রামের ২৯ বছর বয়সী এই যুবক ঐশ্বরিয়াকে ভালোবাসতেন এবং এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাকে অনুসরণ করছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।  


    প্রশান্ত কুন্দেকার চিত্রশিল্পী হিসেবে কাজ করতেন এবং হত্যাকাণ্ড ঘটানোর আগে তিনি তার মায়ের কাছে গিয়েছিলেন এবং ওই তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে তার মা তাকে প্রথমে আর্থিকভাবে স্থিতিশীল হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে। 


    মঙ্গলবার প্রশান্ত বিষের বোতল নিয়ে ঐশ্বরিয়ার খালার বাড়িতে যায়। সেসময় তাকে বিয়ে করার জন্য তিনি আবারও ঐশ্বরিয়াকে জোর করেন। কিন্তু বিয়ে করতে অস্বীকার করলে প্রশান্ত তাকে বিষ পান করতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। এতে ওই তরুণী বাধা দিলে প্রশান্ত তার পকেট থেকে ছুরি বের করে তাকে গলা কেটে হত্যা করে।


    মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঐশ্বরিয়া মারা যান। এরপর প্রশান্ত একই ছুরি ব্যবহার করে নিজের গলা কেটে ফেলে এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সিটি পুলিশ কমিশনার ইয়াদা মার্টিনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এই ঘটনায় আরও তদন্ত করছেন বলে জানানো হয়েছে।


    এবি 

    বান্দরবানের লামায় 'রিসোর্টে' অতিরিক্ত মদ্যপানে যুবকের মৃত্যু

    বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকার রয়েল হিল রিসোর্টে অতিরিক্ত মদ্যপানে নুরুল আলম (৩৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।


    মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়। 


    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতরাতে নুরুল আলম বন্ধুদের সাথে মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকায় রয়েল রিসোর্টে ছিল। 


    পারিবারিক সূত্রে জানায়, নুরুল আলম রয়েল হিল রিসোর্ট মালিক রাসেল এর গাড়ি চালক। গতকাল রাতে সে তার বন্ধুদের সাথে রিসোর্টে ছিলো। সেখানে তারা অতিরিক্ত মদ্যপান করার কারণে নুরুল আলম হঠ্যাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। অস্বাভাবিক অবস্থায় ভোর রাতে তাকে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগে তার মৃত্যু হয়।


    লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সাইফুদ্দিন মো.মুরাদ জানান, অতিরিক্ত মদ্যপানে কারণে নুরুল আলমকে হাসপাতালে আনার পরে  জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে লামা থানাকে অবগত করা হয়। থানা পুলিশ হাসপাতাল আসতে দেরি হওয়ার কারণে মৃত ব্যক্তির বন্ধুরা জোর করে যুবকের লাশ চকরিয়া নিয়ে যায়। 


    এ বিষয়ে লামা থানার ওসি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এক যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



    এসআর


    পৈত্রিক সম্পত্তিসহ বাড়ী-ঘর জবর দখল থেকে রক্ষার প্রতিবন্ধী যুবকের সম্মেলন

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৈত্রিক সম্পত্তিসহ বাড়ী-ঘর জবর দখল থেকে রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিবন্ধ যুবক নুর আলম। 

    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা এগারটায় কলাপাড়া রিপোর্টর্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নুর আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার মা সালেহা বেগম, ভাইগ্না জাহিদুল।

    লিখিত বক্তব্যে নুর আলম বলেন, কলাপাড়া পৌরসভা শহরের নাচনাপাড়া এলাকায় ৬৬ শতক পৈত্রিক সম্পত্তিতে ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি।

    আমার পিতা রহিম সিকদাররের সাথে স্থানীয় মাসুদ সিকদারের জমি থাকায় তা সাথে বহু বছর মামলা চলমান ছিল। মহামান্য হাইকোর্ট থেকে রায় প্রাপ্ত হইয়া আমরা শান্তিপূর্নভাবে ওই জমি ভোগ দখল করা অবস্থায় আমার পিতা মৃত্যুবরন করেন।

    ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর পূণরায় ঐ জমির দখল নিয়া স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিগ্রাসী মস্তফা মাতুব্বর, গাউস মাতুব্বর, খবির মুন্সী, কালাম মুন্সী, আনোয়ার ঘরামী, দুলাল ঘরামী, মামুন মৃধা জাল কাগজপত্রপত্র সৃষ্টি করে আমাদের ৩০ বছরের বাড়ী-ঘরের আইল-ভেরী কেটে সীমানা অতিক্রম করে বাড়ীর মধ্যে জমি দাবী করে আমাদের শারীরিক-মানসিক অত্যাচার করছে। প্রতিনিয়ত ভয়-ভীতিসহ জীবননাশের হুমকী দিচ্ছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে থানা পুলিশসহ স্থানীয় সেনাবাহিনী কমান্ডারকে অবহিত করা হয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনের পর আবারো হামলাসহ প্রাননাশের শংকার কথা তুলে ধরে নুর হোসেন বলেন, বর্তমানে আমি পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। একজন প্রতিবন্ধী হিসাবে পৈত্রিক সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ন ভোগ দখলে প্রশাসনিক-রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাউস মাতুব্বর বলেন, নুর আলম গং প্রাপ্য পৈত্রিক সম্পত্তির অধিক জমি বিক্রি করেছেন। তারা একটি কুচক্রী মহলের ইন্দনে নতুন একটি ছাপরা ঘর তুলে পুরো জমি পুনরায় দখলে উঠেপড়ে লেগেছে। যার ভোগান্তি জমি ক্রেতা হিসাবে আমাদের পোহাতে হচ্ছে। তবে গাউস মাতুব্বরের এমন বক্তব্য অসত্য বলে দাবী করেছেন নুর আলম।

    এমআর

    বিয়েতে নাচতে নাচতে হার্ট অ্যাটাক করে তরুণীর মৃত্যু

    খুশির দিনে নেমে এল শোকের অন্ধকার। বিয়েতে নাচতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক যুবতীর। পরিণীতা ইন্দোরের বাসিন্দা। তিনি খুড়তুতো দিদির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিদিশার ওই রিসোর্টে গিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসা ওই ভিডিয়োই দেখা গিয়েছে, যে ‘হলদি’ অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে নাচছিলেন তিনি। সেই সময় ২০০ জনের বেশি অতিথি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

    ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে। মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার একটি রিসোর্টে। ওই যুবতীর নাম পরিণীতা জৈন (২৩)। জানা গিয়েছে, এক আত্মীয়র বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচার সময় আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পরিণীতা। তখন সকলে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।


    জানা গিয়েছে, পরিণীতা ইন্দোরের বাসিন্দা। তিনি খুড়তুতো দিদির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিদিশার ওই রিসোর্টে গিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসা ওই ভিডিয়োই দেখা গিয়েছে, যে ‘হলদি’ অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে নাচছিলেন তিনি। সেই সময় ২০০ জনের বেশি অতিথি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে। পরিণীতা তখন ‘লেহরা কে বলখা কে’ নামে একটি বলিউড গানের তালে নাচছিলেন। তখন তিনি হঠাৎ মঞ্চে পড়ে যান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানস্থলে শোরগোল পড়ে যায়। তখন পরিবারের সদস্যরা তাঁর কাছে ছুটে আসে। ওই অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা তাঁকে সিপিআর দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারে শোকের ছায়া নামে। জানা গিয়েছে, পরিণীতা এমবিএ স্নাতক ছিলেন। তিনি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে ইন্দোরের দক্ষিণ তুকোগঞ্জে থাকতেন।


    উল্লেখ্য, ১২ বছর বয়সে তাঁর ভাইও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল।  


    তবে, মধ্যপ্রদেশে নাচতে গিয়ে হৃদরোগে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছরের অক্টোবরে, আগর মালওয়া জেলায় ক্রিকেট খেলার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছিল। একইভাবে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি যোগব্যায়াম অনুষ্ঠানের সময় মঞ্চে নাচতে নাচতে ৭৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।জুন মাসে আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনায় উত্তর প্রদেশের নৈনিতাল জেলায় বিয়ের আগে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন দিল্লির ২৮ বছর বয়সি এক মহিলার মৃত্যু হয়। অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়ে তিনি হৃদরোগে মারা গিয়েছিলেন।


    এর আগে, ২০২৩ সালে বিয়ের রিসেপশন অনুষ্ঠানে নাচতে নাচতেই মৃত্যু হয়েছিল যুবকের। জানা গিয়েছিল, মৃত যুবকের নাম মুত্যম সে তেলাঙ্গানার আদিলাবাদ জেলার কুভীর মণ্ডলের পরদি নামক একটি গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ গান করে বেশ আনন্দ করছিল ১৯ বছর বয়সের ছেলেটা। আনন্দে আত্মহারা হয়ে শার্টের সামনের বোতাম খুলে গানের তালে তালে নাচছিল সে। ভেতরের গেঞ্জি দেখিয়ে বলিউড তারকার মতো কোমর দোলাচ্ছিল সে। তবে আচমকাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সেই যুবক।সঙ্গে সঙ্গে ভাইঁসাতে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    ২০২৩ সালেই কলেজ ফেস্টে নাচতে নাচতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মাস্টার্সের এক ছাত্র। মৃত ছাত্রের নাম, অভিজিৎ শিন্ডে। তাঁর বয়স ২৬ বছর। অভিজিৎ মহারাষ্ট্রে নাসিকের বাসিন্দা। সে বেঙ্গালুরুর আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। এভাবে এক ছাত্রের আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার।

    এর আগে হায়দরাবাদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকা মৃত্যু হয়েছিল এক পুলিশকর্মীর। জিম করতে গিয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলের হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয়।


    এবি 

    গলাচিপায় নদী থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

    পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড চর হরিদেবপুর গ্রামের বাবুর্চি বাড়ি সামনের রামনাবাদ নদী থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ।


    সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা নদীতে লাশটি ভাসতে দেখে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দুলালকে খবর দেন। পরে তিনি গলাচিপা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। সংবাদ পেয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশের একটি দল গিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করেন।


    গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান জানান, লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পরিচয় শনাক্তে সিআইডির চৌকস টিমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    এআই

    কুমিল্লায় পরকীয়া প্রেমিকার ঘর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

    কুমিল্লার সদর দক্ষিণে পরকীয়া প্রেমিকার ঘর থেকে টিপু সুলতান (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

    সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের মোহনপুর থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রেমিকা রূপা আক্তারকে (২৬) আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    নিহত টিপু সুলতান উপজেলার গাবতলী গ্রামের দেলু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত রূপা আক্তার একই গ্রামের শেখ বাড়ির সৌদি প্রবাসী বশির আহমেদের স্ত্রী।

    কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিলিপ কুমার মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    নিহতের চাচাতো ভাই মো. মহিবুর রহমান বলেন, আমার ভাই টিপু সুলতান পাইপ ফিটিং মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতো। তার সঙ্গে রূপা আক্তারের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। সর্বশেষ শনিবার রাত ১০টার দিকে চাচাতো বোন আখির সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন স্থানে খুঁজে তাকে না পেয়ে সোমবার দুপুরে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। সন্ধ্যার পর আমরা জানতে পারি রূপার ঘরে টিপু সুলতানের লাশ পাওয়া গেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।

    এ বিষয়ে এসআই দিলিপ কুমার মজুমদার বলেন, সন্ধ্যায় রূপা আক্তার থানায় এসে পুলিশকে জানায় তার ঘরে এক যুবক এসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রাত ৮টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। 

    প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়া প্রেমের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকা রূপা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

    এআই

    পি‌রোজপু‌রে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু

    পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় নির্মাণাধীন কালভার্টের গর্তে পড়ে রাকিব জমাদ্দার (২৩) নামে এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে।


    মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার চরখালি- মঠবাড়িয়া সড়কের ইকড়ি- ঝাউতলা এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুব্রত হালদার (২০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন।


    ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 


    নিহত রাকিব জমাদ্দার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ভগিরতপুর ইউনিয়নের ছোটশৌলা গ্রামের কবির জমাদ্দারের ছেলে। আহত সুব্রত হালদার পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের রবীন্দ্রনাথ হালদারের ছেলে।


    স্থানীয় মিরুখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনির হাওলাদার বলেন, রাত ১১ টার দিকে চরখালি থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল চরখালি- মঠবাড়িয়া সড়কের ইকড়ি- ঝাউতলা বাজারের কাছে নির্মাণাধীন একটি কালভার্টের গর্তে পড়ে যায়। এসময় ঘটনা স্থলেই চালক মারা যায়। আমি পুলিশে খবর দেই তবে পুলিশ আসার আগেই পরিবারের লোকজন এসে লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। শুনেছি সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


    নিহত রাকিব জমাদ্দারের বন্ধু সাইফ ইমন বলেন, রাকিব ও তার বন্ধু সুব্রত দুইজনে মিলে ভাণ্ডারিয়ার আনসার খালি এলাকায় ঘুরতে গেছিল ঘোরাফেরা শেষে মঠবাড়িয়ার ভগীরথপুর যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় রাকিব মারা গেছে। ১৮ জানুয়ারি রাকিব বিয়ে করেছিলো। বিয়ের মেহেদী শুকনোর আগেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেল।


    ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে ঘটনাস্থলে মরদেহ পাওয়া যায় নাই। নিহত রাকিব জমাদ্দারের পরিবার এসে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে। যেহেতু নিহতের বাড়ি পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া থানা এলাকায় তাই আমরা মঠবাড়িয়া থানায় যোগাযোগ করেছি। পরিবারের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


    এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনা ভান্ডারিয়া থানা এলাকায় ঘটেছে তবে নিহতে বাড়ি মঠবাড়িয়ায়। নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


    এবি 

    Loading…